সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৫:২৭ অপরাহ্ন

বগুড়ার ১২ উপজেলার ৮৫টি হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচা হচ্ছে

বগুড়া প্রতিনিধি: আগামী ২৯ জুন পবিত্র ঈদ উল আযহা। বগুড়ায় কোরবানির পশুর হাট জমতে শুরু করেছে। জেলায় এবার ৮৫টি হাটে কোরবানির পশু কেনা-বেচা হচ্ছে। এর মধ্যে ৩২টি স্থায়ী ও ৫৩টি অস্থায়ী হাট। এবার জেলার হাটগুলোতে ৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৯৭টি পশু কেনা-বেচা হবে। এর মধ্যে অধিকাংশই গরু ও ছাগল।
এছাড়া মহিষ, ভেড়াও রয়েছে। কোরবানির জন্য জেলার মোট ৪৪ হাজার ৩২৯ জন খামারি এই পরিমাণ পশু কোরবারির জন প্রস্তুত করেছেন। জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ দিকে, হাটগুলোতে পশু কেনা-বেচা নিয়ে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেইসাথে গুরুত্বপূর্ণ বড় বড় হাটগুলোতে বসানো হয়েছে জালটাকা শনাক্তকরণের মেশিন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এবার বগুড়া সদরে ৮টি, শেরপুরে ৬টি, ধুনটে ৬টি, শাজাহানপুরে ১৪টি,শিবগঞ্জে ১৪টি,গাবতলীতে ৯টি, সোনাতলায় ৬টি,আদমদিঘীতে ৩টি, দুপচাঁচিয়ায় ৫টি, কাহালুতে ৫টি, নন্দীগ্রামে ৪টি ও সারিয়াকান্দিতে ৫টি কোরবারির পশুর হাট বসেছে। তবে জেলার গুরুত্বপূর্ণ বড় হাটগুলো হলো, বগুড়া সদরের সাবগ্রাম, ঘোড়াধাপ, নামুজা, শেরপুরের বারদুয়ারী, আদমদীঘির রাধাকান্তহাট সান্তাহার, আদমদীঘি, ধুনটের হাসুখালি, শাজাহানপুরের বনানী, দুবলাগাড়ী, রাণীরহাট, নয় মাইল, দুপচাঁচিয়ার ধাপেরহাট, কাহালুর জামগ্রাম বাজার, শিবগঞ্জের মহাস্থান, বুড়িগঞ্জ, সোনাতলার সৈয়দ আহমেদ কলেজ, কাঁচারীহাট, নন্দীগ্রামের রণবাঘা, গাবতলীর নারুয়ামালা, সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া, জোড়গাছা ও ফুলবাড়ী হাট। তবে অধিকাংশ হাটে সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে অতিরিক্ত হাসিলের টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সপ্তাহের প্রতিদিনই কোন না কোন হাটে কোরবানির পশু কেনা-বেচা চলছে।

কোরবানী পশুর হাটগুলেতে নেয়া হয়েছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গুরুত্বপূর্ণ বড় বড় হাটগুলোতে থাকছে পুলিশ কন্ট্রোল রুম। হাটে মোতায়েন থাকবে একজন করে পুলিশের এসআই বা এএসআই, ২ জন করে কনস্টেবল। এছাড়া সাদা পোশাকে নজরদারি করছে পুলিশের সদস্যরাও। হাটের ইজারদারদের পক্ষ থেকে বসানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে সেচ্ছাসেবকদলও।
শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: রায়হান পিএএ বলেন, এ উপজেলায় ৭০ হাজার ১৬২টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। কোরবানী ঈদের হাটকে কেন্দ্র করে লেনদেন হবে প্রায় ৩৬৫ কোটি টাকা।
উপজেলায় সকল স্থায়ী অস্থায়ী ১১টি পশুর হাটে নিরাপদ পশু নিশ্চিত ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম এবং মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক সেবা প্রদান অব্যাহত রাখছে! কোরবানি পরবর্তী বর্জ্য ব্যাবস্থাপনায় সচেতনতা কার্যক্রমসহ খামার ভিত্তিক, অফলাইন অনলাইন কোরবানির পশু বিক্রি এবং ক্যাশলেস লেনদেনের ক্ষেত্রে ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথ কার্যক্রম অব্যাহত রাখছেন বলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান।

এ ব্যাপারে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: স্নিগ্ধ আখতার বলেন, কোরবানির পশুর হাটগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। পুলিশ কন্ট্রোল রুমে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতাবেক থাকবে। হাটে জালটাকা কারবারি চক্রের সদস্যরা কোরবারির পশু কিনতে গিয়ে যাতে জালনোট ছড়াতে না পারে সেজন্য থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বড় বড় হাটগুলোতে থাকবে জালটাকা সনাক্তকরণ মেশিনও।হাটে হাটে অজ্ঞানপার্টি ও মলমপার্টির তৎপরতারোধেও পুলিশ সজাগ থাকবে। সেইসাথে হাটগুলোতে পশু কেনা-বেচার সময় ইজারাদারের লোকজন অতিরিক্ত হাসিল আদায় না করতে পারে সেজন্যও পুলিশের নজরদারি থাকবে বলে ওই পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335